top of page

চৈত্রে মাতৃর চরণে ধুতুরা - সদগুরু (সিদ্ধতান্ত্রিক কালীচরণ)

Updated: Apr 11

সদগুরু বহু পদ বাংলায় আছে। জ্ঞানগঞ্জে এবং বারাণসীতে তাকে অনেকেই সিদ্ধতান্ত্রিক কালীচরণ বলে চেনে বা সেই নামেই সম্বোধন করে। একজন ব্যক্তি সদগুরুর জ্ঞানগঞ্জ যাবার বৃত্তান্ত অনেকটাই চুরি করে। এবং নিজের নামে চালায় এবং বই বার করে। সেখানে কাশীর সিদ্ধতান্ত্রিক কালীচরণ কে নাম পরিবর্তন করে সিদ্ধতান্ত্রিক বামাচারণ করে বই বার করে দেয়। সেই ব্যক্তি কোনো সাধক নন, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার মানুষ, একসময় PWD-র সাব কন্ট্রাক্টর ছিলেন। তার দারিদ্রের কথা শুনে সদগুরু দ্বিতীয় বার জ্ঞানগঞ্জ থেকে ফেরার পর তার তিব্বত যাত্রা কেমন করে হয়েছিল তার বর্ণনা দিয়েছিলেন। তাকেই নিজের যাওয়া বলে চালিয়ে বই বার করেন ও সাধারণ মানুষের কাছে দ্বিব্যত্ব পাবার চেষ্টা করেন । আমরা শ্রী সিদ্ধাশ্রমের সাধক ও ভক্তরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি । গিরিজা পাব্লিকেশন -এর কাছে অনুরোধ ওই বইটি আর প্রকাশ করবেন না ।



Poem | Garh Jungle | April 02, 1990



চৈত্রে মাতৃর চরণে ধুতুরা,

হাসে পলাশ, কাঁপে নীরদ নূপুরা।

মাটির বুকে জেগে উঠে পিঁপড়ের লাইন,

তার মাঝেই মা বসন্তীর গোপন চিহ্ন ছায়া-ছিন।


আঁচলে তোর কেতকী গন্ধ,

কপালে তোর রক্তের চন্দ।

ঘোমটা খোলে পূর্ণিমার রাতে—

তখনি শুরু কুণ্ডলিনী কথা-বারাতে।


শ্বেতকালী নয়, লালচে চোখ,

বৃন্দাবনে নয়, ডোমের লোক।

বাঁশির বদলে খঞ্জনির ছন্দ—

তোর প্রেমে পড়ে জটাধারীও বন্দ।


"ওরে বামা, তোর ঠোঁটে বিঁধে আছে রক্ত-ভাষা,

তুই কি শুধুই মধু? না বিষের আশ্বাসা?"

মা হেসে বলে, “বাহ! এই তো চাও!

আমি কামে কামিনী, তান্ত্রে ত্রিশূল-নাও।”


দেহ নয়, এ তোর তাপ-তন্ত্র,

সাধন মাঝে শরীরের মন্ত্র।

চোখ রাখিস না শুধু ফুলে পাতায়,

মা থাকেন পলাশ-গন্ধা রাতায়।


ধুনোর ছোঁয়ায় বেহুঁশ গুরু,

বামাচারী কয়, “এই তো পূর্ণ কুরু!”

চণ্ডীতে নয়, নয় কালি স্তোত্রে,

তাঁকে পাবি শুধু বসন্তের চোরা চিত্রে।


চরণতলে মাটি, বুকে পুজোর ছাঁই,

বাসন্তী মা বলেন, “তুইই তো আমি তাই!”

শরীর হলো পূজা-পিঁড়ি,

কাম নয়, এ তো আত্মা-সিঁড়ি।







Subscribe to our newsletter • Don’t miss out!

Meditate at the beach

Share this Page

bottom of page