সাধক উমানন্দ একটি সদগুরু সান্নিধ্যানে সদগুরু অবধূত অদ্বৈতানন্দ ও বাকি শিষ্য মন্ডলীর সামনে তার সাধন জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতার বললেন।
সাধারনত আমি বাড়ি তেই সাধনা করি, কাজের জায়গায় লোক জনের আসা যাওয়ার কারনে সাধনা হয়ে ওঠে না।সেদিন তাড়াতাড়ি কাজের জায়গায় পৌঁছে যাবার কারনে হাতে অনেকটা সময ছিল,তাই সময় নষ্ট না করে আমি পিওন কে ডেকে বলি যে ঘরের আলো নিবিয়ে দাও,আর ঘরের দরজা বন্ধ করে চলে যাও,দেড় ঘন্টা বাদে এসে ঘরের আলো জ্বালিযে দেবে।তাকে আরো বলি এই সময়ে আমার ঘরে যেন কেউ না আসে ।
পিওন দরজা বন্ধ করে চলে গেলে আমি সাধনা শুরূ করলাম, অন্য সময়ে কানেক্ট হতে সময় লাগে , সেদিন কি হলো জানিনা !!! গুরু কে স্মরন করে সাধনা শুরু করলাম এবং অল্প সময়ের মধ্যেই কানেক্ট হয়ে গেলো - আমার মনে হলো আমার শরীর টি খুব হালকা এবং আমি আমার শরীর থেকে বেড়িয়ে গেছি, হঠাত আমার পায়ে ঠান্ডা জলের অনুভুতি হলো , কিছুটা ধাতস্ত হবার পর দেখলাম অপরুপ নরম নীলচে আলোয় চারদিক ভোরেগেছে , আমি মানস সরোবরের জলে গোড়ালি পর্য্যন্ত ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। জলটা এতই স্বচ্ছ যে তলায় নুরি গুলো পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি।
সে এক অপার্থিব আনন্দ অনুভূতি , সেটা ভাষায় বোঝান সম্ভব নয় তাই বৃথা চেষ্টা করলাম না।আমি আমার গুরু কে স্মরন করতে আরম্ভ করলাম, ক্রমস উজ্জল সাদা আলো আমার সামনেএলো এবং পর মু্হূ্র্তে দেখলাম আমার সামনে ধোয়াসা ভালো করে দেখলাম আমি আমার পরমার্ধ দেবাদিদেব মাহাদেবের সামনে।হাতজোর করে বসে প্রনাম করলাম।অপালক দৃষ্টি তে ওনার দিকে তাকিযে রহিলাম,নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।ভালো করে উপলব্ধি করার চেষ্টা করলাম, অনুভব করলাম মা ভগবতী এবং দেবাদিদেব মহ্দেব একই শরিরে আমার সামনে বিরাজমান কতক্ষন যে এমত অবস্থায় বসে ছিলাম জানি না,আমার দুই চোখ দিয়ে আনন্দ অশ্রু বের হতে লাগলো। এই ভাবে কিছুখন অতিবাহিত হবার পর হঠাত আমার শ্রীগুরুর মুখ ভেসে উঠলো, আসতে আসতে আমার সাধনা ভাঙলো।কিছুখন হতভম্বের মতো বসে রহিলাম, পরে একটু ধাতস্ত হলে অনুভব কবলাম অমার দুই চোখ দিয়ে তখনো আনন্দ অশ্রু বয়ে চলেছে। পিওন ও কখন ঘরের আলো জেলে দিয়ে গেছে সে টা ও উপলব্ধি করতে পারি নি ।মনে হলো আমি আনন্দে বেশ ভালোই ছিলাম কেন আবার ফিরে এলাম !!!