অগ্নি থেকে উদ্ভূত আলোক বায়ু এবং আকাশে প্রবাহিত হতে পারে। কিন্তু জল বা মাটির ভিতর যেতে পারে না। শক্তি যত শক্তিশালী হোক না কেন নির্দিষ্ট শক্তি নির্দিষ্ট আধারকেই সম্পৃক্ত করতে পারে। তাপ শক্তি তার ভিতর তাপ, গতি এবং আলোক ত্রিশক্তিকে উৎপন্ন করতে পারে উপযুক্ত আধার বা matter পেলে। তাপ শক্তির এক অপূর্ব ক্ষমতা সে কঠিন আধারকে (matter) বিভিন্ন অবস্থার পরিবর্তন (change of state) করতে সক্ষম। তাপ শক্তি জল ও মাটিতেও প্রবাহিত হতে পারে আবার বায়ু ও আকাশে ও প্রবাহিত হতে পারে। এর গতি সর্বত্র। কুপরিবাহী আধার পেলে তাপ শক্তি তাকে পরিবর্তিত করে দিতে সক্ষম।
মানব মনের ইচ্ছা শক্তি বা কাম এই তাপ শক্তির স্বরূপ। ইনিই ক্লীমকার।
তাপের কণার বা তাপ শক্তি আধারকে সম্পৃক্ত করে যে আলোক তৈরী করে তার প্রবাহ যে শক্তি দ্বারা হয় তাই গতি শক্তি। এই গতি শক্তিই ক্রিয়া। ইনিই শ্রীম কার।
এই ইচ্ছা বা কাম এবং তার ক্রিয়া মিলিত হয়ে সৃষ্টি হয় সৃষ্টি বা আনন্দ বা জ্ঞান। আলোক শক্তি তাই হ্রীম কার।
এবার আসি নাদ বা কম্পন। এখন এই নাদ এর চূড়ান্ত রূপ ওমকার। শব্দ থেকে তাপ শক্তি উৎপন্ন হতে পারে। একজন প্রশ্ন করেছিলেন আধুনিক বিজ্ঞানে এর উদাহরণ দিন। উত্তরে বলেছিলাম microwave oven। শব্দ শক্তি থেকে তাপ শক্তির পরিবর্তন। এই শব্দ বা নাদে ও সেই ত্রিশক্তির সমাহার। মানসিক জপ বা Mentally chanted বীজ যখন উপযুক্ত কম্পাঙ্ক (frequency) প্রাপ্ত হয় তখনই তার মানে বীজের স্বরূপ উদঘাটন হয় মানব দেহে। দেহ যন্ত্রের ভিতর এর উত্তরণ ঘটবে।
তন্ত্রের দেহ ত্বত্ত এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান একই কথা বলে। সেই analogy কে ধরতে পারলে life 'ঝিঙ্গালালা'। না হলেই "অঙ্ক কি কঠিন" । তখন হয়ে যাবে "ব্রহ্মা জানে গোপন কম্মটি"।