অবধূত ছোট বেলা থেকে সাধন জীবনে যে পদ লিখেছেন তার কিছু কিছু অংশ দেওয়া হলো।পরবর্তীতে সেই সব পদ তার অনেক শিষ্য সাধনায় তারই তৈরী পদ পেয়েছেন। মোট পদের সংখ্যা প্রায় ৮০০০। সাধনে পদ পাওয়া যায়। বাংলার সাধক কবিরাও সাধনায় পদ পান। কেউ এসব তাদের মন থেকে লেখেননি। এর মধ্যেই ঢুকে থাকে গুপ্ত জ্ঞান।
জটাধারীর রুদ্রবীণা।
জীবনের অরূপবীণা।।
সেই বীণাতেই সপ্তসুর।
সপ্ত চক্রেই আদিশক্তির পুর।।
রুদ্রবীণার আদলে দেহকান্ড।
তাতেই সেই অমৃত ভাণ্ড।।
শক্তি আরাধনায় জটাধারীর বাণী।
দেহ কাণ্ডের প্রযুক্তি শুধু শিবেরই জানি।।
ভাঙলে ধনু করলে শামুক।
ভাবলে শিব বড়ই কামুক।।
ভুল ভাবনায় সবাই ম'লো।
গোরক্ষনাথের ভেলকি দেখলো।।
আগের বারে আলোকবিজ্ঞান।
এবারে পেলো শব্দ বিজ্ঞান।।
দিব্য কৈবল্য ভাবলো
নিয়ে যাবে পঞ্চম আয়াম।।
দিব্য চৈতন্য ছিনিয়ে নিলো।
বাংলায় সেই আয়াম।।
অরুণ শর্মার যক্ষের বাণী
টুকে দিলো ভন্ড শঙ্কর স্বামী।।
মাতুলী মায়া ভৈরবী যার
সেই করবে নিকেশ এবার।।
রুদ্র এবার উঠলো ফুঁসে।
দন্ড তুললো রুদ্র রোষে।।
দণ্ডপাণির দন্ড।
করছে লন্ড ভন্ড।।