top of page

চিৎকলা বা ষোড়শী কলা - অবধূত



আনন্দ চৈতন্য থেকে পৃথক হলেই - ভোগ্য হলেই অনন্ত কলা বিশিষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ চৈতন্য যা কলাতীত তা ক্রমে কলাসমন্বিত হয়ে যায়। এটাই চিৎকলা। এটাই স্পন্দন বা pulsate এর আগের অবস্থা। চিৎকলা শব্দের প্রয়োগ হয় না।


ব্যক্ত প্রকৃতি বা মহৎ অব্যক্ত প্রকৃতির এক অংশ বা এক ক্ষুদ্র অংশ এতে এ আছে অনন্ত কলার ১৬ কলা। তার মধ্যে প্রকৃতির ১৫ কলা এবং ১টি পুরুষ বা চিৎকলা - ষোড়শী কলা।


আত্মা ই 'বিন্দু' একে বৃত্তাকারে কল্পনা করা যেতে পারে। এই বিন্দুর কেন্দ্রটি পুরুষ বা চিৎকলা - চারিদিকে পঞ্চদশ কলা। এখানে অহং ভাবের পূর্ণ বিকাশ। এখানে বোধ, আনন্দ ইত্যাদি সবই পূর্ণভাবে প্রকাশমান। কিন্তু হা এখানে একটা কিন্তু আছে। এই প্রকাশ একমাত্র আধার অনুসারেই পূর্ণত্ব।


অব্যক্ত থেকে আত্মার বা IAM এর প্রকাশ বড়ই রহস্যময়। প্রথমে ১কলার অভিব্যক্তি বা expression এই ১কলা অব্যক্তের অভিব্যক্ত রূপ। চিৎকলা তো আছেই। এটাই তারাখ্যা মহাবিদ্যা - এটাই পরমেশ্বরের অনুরূপ। আবার এটাই পশ্যন্তি বাক্ - অমৃত কলা। অব্যক্ত হলো অমাবস্যা তাই কালী। ১৫ কলা পূর্ণ হলে তা পূর্ণকলা, ললিতা, ত্রিপুরা, ষোড়শী, রাজরাজেশ্বরী। সমগ্র শুক্ল পক্ষই তারা থেকে ষোড়শী পর্যন্ত বিকাশের পথ। রাজরাজেশ্বরী পরমেশ্বরের মহৎ রূপ।


কলা বিন্দু না হয়ে পর্যন্ত তাতে অহং ভাব জাগে না। তাই বোধ ভাব আনন্দ কিছু ছেতমান হয় না। ১৫ কলার মধ্যে এ যাবতীয় শক্তি আছে। এই অহম পূর্ণ অহম - IAM






Subscribe to our newsletter • Don’t miss out!

Meditate at the beach

Share this Page

bottom of page