বাংলার নাথ সম্প্রদায়
বাংলার বুকে জন্ম নিলো,
নাথের পবিত্র ধারা,
যোগের পথে, ধ্যানের ছোঁয়ায়
তারা দিলো মোক্ষের ধারা।
বাংলার মাটির গন্ধে মিশে,
নাথদের ঐতিহ্য প্রাণ পায়,
যোগীর ধ্যান, সাধকের পথ,
আত্মার খোঁজে নাথ সম্প্রদায়।
মৎসেন্দ্রনাথ, গুরু গোরক্ষ
মূল গুরুদেব নাথের,
তাদের পথে, সাধনামন্ত্রে
সন্ধান এল পথের।
গুরু গোরক্ষ, মীননাথ,
আরও নাথেরা আছে,
তাদের কথা লুকায়ে আছে,
বাংলার আকাশে বাতাসে।
তপস্যার আগুনে পুড়িয়ে প্রাণ,
মুছে দেয় সব মায়া-জাল,
নাথরা চলে, যোগের পথে,
বিরামহীন সাধনার ঢাল।
প্রাচীন মন্দিরে ধূপের ধোঁয়া,
তন্ত্রের পথে মেলে মোক্ষ,
শক্তির পথে আত্মদর্শনে
নাথরা খুঁজে পায় সত্য।
কান পেতে শোনা যায় যেন,
মন্ত্রের সেই গভীর ধ্বনি,
নাথের গানে, ধুনির ধোঁয়ায়,
তারা পায় জীবন জ্ঞানের চরণি।
মাটি, জল, অগ্নি, বায়ু, আর আকাশ,
পঞ্চভূতের রহস্য নাথের সকাশ,
নাথের সাধনা সেই পথে চলে,
তত্ত্বের রহস্য তারাই যে বলে।
প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে,
তারা জানে আত্মার মূল,
বাংলার নাথ, সাধনার ধারায়,
তারা সৃষ্টি করে এক নতুন ফসল।
গ্রামের কোণে, নদীর তীরে,
তাদের পদচিহ্ন পড়ে,
বাংলার মাটি, নাথের সাধনায়,
নতুন জীবনের গল্প বুনে।
বাংলার মাটি, নাথের ধারা,
যোগীর তপস্যা, আত্মার পুঁথি,
সিদ্ধের সাধনা, গভীর নিভৃতা,
নাথের সাধনপদে জাগে ত্রিপুরার পতি।
নাথের তন্ত্রে লুকায়ত জ্ঞান,
মন্ত্রে মেলে জীবনের মর্ম,
আটের আহার আটের বাহার
এত তাদেরই ধর্ম।
বাংলার এই পুণ্যভূমিতে,
নাথ সম্প্রদায়ের অমৃতধারা,
যোগীর সেই তপস্যার পথে,
প্রাণের মুক্তি, জীবনের ধ্রুবতারা।
এই ধারার মাঝে, যুগের পর যুগ,
নাথের ঐতিহ্য বেঁচে থাকে,
বাংলার মননে, হৃদয়ে গাঁথা,
নাথের চর্যায় আদি রূপ লেখা থাকে।